ডেস্ক নিউজঃ
ছাতকের উত্তর খুরমা ইউনিয়নে ডাকাত সন্দেহে ৫ ব্যাক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন উত্তর খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ। মঙ্গলবার রাতে তাদের আটক করা হয়। আটকের পর ছাতক থানার এস আই আসাদুজ্জামান রাসেল গাবুরগাঁও পয়েন্ট থেকে রাতেই তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান। আটককৃতরা হলেন মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার নিলক্ষী বন্দর ইউনিয়নের নিলক্ষী পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত রতন বেপারীর ছেলে মাহবুব বেপারী (৩৫),একই গ্রামের মৃত চান মিয়া বেপারীর ছেলে জাকির বেপারী (৩৬), নাটোর জেলার নাটোর থানা সদরের বর হরিষপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন সেন্টু (৩৭), একই এলাকার মৃত মোতালেবের ছেলে মাসুদ রানা (২৯), মৃত আসাদুজ্জামানের ছেলে আশরাফী আহমেদ রাকিন(২২)। শাহাদাত হোসেন সেন্টু মাদারীপুর সদরের কোনিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের বর্তমান বাসিন্দা।
আটক ওই ৫ জনকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন, এস আই আসাদুজ্জামান রাসেল । তাদের কাছ থেকে একটি ছোরা ও একটি বড় আকারের কেচি উদ্ধার করা হয়েছে। জানাগেছে,ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ মঙ্গলবার রাতে ছাতক থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে আন্ধারীগাঁও ও গাবুর গাঁও পয়েন্টের মাঝামাঝি স্থানে রাস্তায় একটি সিএনজি ফোরস্ট্রোক দাঁড় করিয়ে এখানে বসে থাকতে দেখেন ওই ৫ জনকে। এ সময় তাদেরকে ইউপি চেয়ারম্যান জিজ্ঞেস করেন তাদের বাড়ি কোথায় এবং তারা যাবে কোথায় ইত্যাদি। তারা চেয়ারম্যানকে জানায় রুক্কা একটি ওয়াজ মাহফিলে যাবে। পরে বলেছে এক মেম্বারের বাড়িতে যাবে তারা। ফোরস্ট্রোক চালক জানায় ছাতক থেকে রুক্কা যাওয়ার কথা বলে তাকে নেয়া হয়েছে। এ সব কথা বার্তায় ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের সন্দেহ হলে তিনি এদেরকে নিয়ে গাবুরগাঁও পয়েন্টে গিয়ে লোকজন ডাকেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন বলেন, যে নামের লোকের কথা বলা হয়েছে এ নামে এই এলাকায় কোনও মেম্বার নেই। রুক্কা গ্রামে কোনও ওয়াজের মাহফিল ও নেই তবে তারা কই যেতে চায়। পরে বিভিন্ন ভাবে জিজ্ঞেস করার পর সাবেক এক ইউ পি সদস্যার নাম বলেছে আটকের মধ্যে একজন। ওই ইউপি সদস্যা ও তার স্বামীকে তাতক্ষনিক এখানে হাজির করা হলে তারা ওই ৫ জনের মধ্যে কাউকে চিনেন না বলে জানান। পরে ডাকাত সন্দেহে আটক ওই ৫ জনকে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
শেয়ার করুন