করোনা সংকটে প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও আবার শ্রেণি ও বোর্ড পরীক্ষায় নেমে আসতে পারে স্থবিরতা। চলতি বছরের শুরুতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আপাতত ৬ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের মতো এবারো ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, আগের মতো এবারো ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নির্ধারণ করা হবে ছুটি। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (মাধ্যমিক বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খোলা সম্ভব হবে না। বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে আমরা অনলাইন ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পুণরায় শুরু করা হচ্ছে। ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট শুরু করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। শিগগির ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এর আওতায় আনা হবে। অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অ্যাসাইনমেন্ট ও অনলাইন ক্লাসের জন্য আগের চেয়ে শিক্ষকদের অনেক বেশি বেল্ডেন্ডার এডুকেশনের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে। যতো দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করা যায় সে চেষ্টা আমাদের আছে। যতোক্ষণ তা না করা যায় ততোক্ষণ অনলাইন কার্যক্রমের উপর নির্ভর করতে হবে।
জানা যায়, দেশে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। ঘরবন্দি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালিয়ে নিতে সরকার সংসদ টিভি, রেডিও এবং অনলাইনে শিক্ষকদের পাঠদান সম্প্রচার করলেও দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ এর আওতায় আসেনি। ঢাকা মহানগরের কিছু শিক্ষার্থী পেয়েছে এ সুবিধা।
শেয়ার করুন