রমজান শুরুর পর সিলেট নগরীতে ঈদ মার্কেটে ক্রেতাসঙ্কট থাকলেও টানা দুইদিনের ছুটিতে উপচে পড়া ভিড় ছিলো। বিক্রেতারা বলছেন, আর মাত্র ৭ রমজান বাকি। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার কারণেই শপিংমলে ক্রেতার ভিড় শুরু হয়েছে। এমনটা শেষ রোজা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তারা বলেন, বিগত দুই বছর করোনার কারণে লোকসান গুনতে হয়েছে। এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াতে দেরিতে হলেও মার্কেট জমতে শুরু করেছে। সবমিলিয়ে ঈদকে কেন্দ্র করে বেচাকেনা বেশি যাওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরাও।
গতকাল দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত জিন্দাবার ও তার আশপাশের মার্কেট মধুবন, হাসান মার্কেট, শুকরিয়া, বøæ-ওয়াটার, সিটি সেন্টার, কাকলি, ওয়াহিদ ভিউ, আল-হামরাসহ বড় বড় মার্কেট ঘুরে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়।
আল-হামরার নিচে থেকে ৫ম তলা পর্যন্ত মানুষে একাকার ছিল। লিফটের সামনে ছিল দীর্ঘলাইন। দোকানিরাও ছিলেন বিক্রিতে ব্যস্ত।
তবে অন্যান্য শো-রুমগুলোতেও ছিল বেশি ভিড়। অনেকে পোশাক কিংবা জুতার সাইজ পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা করেছেন। কেউ কেউ অতিরিক্ত ভিড়ে বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন। বয়স্কদের জন্য এমন ভিড় ছিল কষ্টের। রোজা রেখে অনেকেই ভিড় ঠেলতে না পেরে ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
বারুতখানাস্থ ইনফিনিটিতে থ্রিপিস পছন্দ করেছেন তানজিনা আক্তার। তিনি জানান, অনেকক্ষণ থেকে বসা। সাইজ মিলছে না। বিক্রয়কর্মীরা ক্রেতাদের ভিড়ে সবাইকে একসাথে সার্ভিস দিতে পারছেন না। যার কারণে অনেকেই বসে অপেক্ষায় আছেন। এপেক্স শোরুমেও একই অবস্থা ছিল। পছন্দের জুতার সাইজ পেতে অনেককেই দাঁড়িয়ে কাউকে বসে থাকতে দেখা গেছে।
বিভিন্ন দোকানি জানান, শুক্রবার সকাল থেকেই ক্রেতারা ভিড় করতে শুরু করেছে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। ক্রেতাদের উপস্থিতি ধীরে ধীরে বাড়ছে। হাসান মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী জানান, শুক্রবার সকাল থেকেই মানুষ ভিড় করছেন।
গতকাল শুকরিয়া মার্কেটে দুপুরে গিয়ে প্রবেশের মতো অবস্থা ছিল না। পুরো মার্কেট ক্রেতায় একাকার ছিল। তবে এর মধ্যে থান কাপড়, শাড়ি, ওড়নার দোকানেই ভিড় ছিল বেশি। বিক্রেতারা জানান, সকালে মার্কেট খোলার সাথে সাথেই ক্রেতা আসতে শুরু করেন। দুপুর ১২টার মধ্যে মার্কেট ক্রেতায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
শেয়ার করুন